Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার তালিকা

৭ মার্চ, ১৯৭১। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। স্বাধীনতার পক্ষে ৯ মার্চ পল্টন ময়দানে ভাষণ দেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষও ঢাকার সংবাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছিলো। তখন ঢাকা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র এখানে পৌঁছতো পরের দিন। প্রাপ্ত তথ্য ও সংবাদের ভিত্তিতে ঠাকুরগাঁও শহরের জনসমাবেশ, মিছিল-মিটিং তথা সার্বিক আন্দোলন আস্তে আস্তে দানা বেঁধে উঠছিলো। আওয়ামীলীগ, ন্যাপ ও কমিউনিস্ট পার্টি এবং তাদের অঙ্গসংগঠনগুলোর ডাকে আহুত কর্মসূচীতে সাড়া দিয়ে পথে নেমেছিলো ছাত্র-জনতা-কৃষক-শ্রমিক। কাড়িবাড়ি হাটের দক্ষিনে ওয়াপদা আবাসিক এলাকা থেকে উত্তরে টাঙ্গনের পাড়ের রিভারভিউ হাইস্কুল, পশ্চিমে ঠাকুরগাঁও কলেজ থেকে পূর্বে বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছোট সাজানো গোছানো শহরটা টগবগিয়ে ফুটছিলো জনতার উত্তাল শ্লোগান আর মিছিলে। সকালের নাস্তা খেয়েই মানুষ এসে জড়ো হতো চৌরাস্তায়। নেতৃস্থানীয়রা বসতেন পেল্টু বাবুর চায়ের দোকানে।

৩ মার্চ বিকেলে স্থানীয় ফুটবল মাঠে তৎকালীন মহকুমা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ মোক্তারের সভাপতিত্বে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহকুমার তৎকালীন ১০ টি থানার বিভিন্ন পেশা ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ শহরের বেশিরভাগ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

রাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফজলুল করিম এমপিএ সাহেবের বাসায় মিলিত হন। এখানে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট একটি ‘‘সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ’’ গঠন করা হয়। সংগ্রাম পরিষদের কার্যাবলী সমন্বয় ও গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে ৩টি উপ কমিটি গঠন করা হয় যার একটি ছিল প্রতিবেশী দেশ ভারতের নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে যেন সহায়তা পাওয়া যায়। এই উপ কমিটির দায়িত্বে ছিলেন এ্যাডভোকেট বলরামগুহ ঠাকুরতা এবং আব্দুর রশীদ মোক্তার।

৪ মার্চ তারিখের মিছিলে স্থানীয় মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল বেশ স্বত:স্ফুর্ত যা পরবর্তী সময়ের আন্দোলনকে তরান্বিত করেছিলো। এদিন ফুটবল মাঠে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে প্রতি থানা থেকে ৩০০ জন নেতাকর্মীকে ৭ মার্চের রেসকোর্সের জনসভায় যোগদানের জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ৫ মার্চ চৌরাস্তা ও পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে গণমজায়েতের পর রেলপথে বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের প্রায় ৫০০ নেতাকর্মী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।

৭ মার্চ তারিখের বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণের পরিপূর্ণ  বিবরণ সেদিন শহরবাসী না জানলেও ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ কথাটি শুনে উজ্জীবিত হয়েছিলো। ৮ মার্চ রেডিওতে প্রচারিত ভাষণ শোনার পর শহর উত্তাল বিক্ষোভে গর্জে উঠেছিলো।

যারা ৭ মার্চ তারিখের জনসভায় যোগ দিতে ঢাকা গিয়েছিলেন তারা ফিরে আসেন ৯ মার্চ। যে কোন একজন নিয়ে এসেছিলেন ঐতিহাসিক ভাষণের ক্যাসেট। এমপিএ ফজলুল করিম সাহেবের বৈঠকখানা থেকে মাইকে শুরু হয় ক্যাসেট বাজানো। সে সময়ের প্রেক্ষাপটে এ ছিল যেন এক যাদুর বাঁশী। মানুষ ছুটে আসছিলো আর শুনছিলো সেই ভাষণ। অবিরাম এই গতিধারা চলছিলো তারপর থেকে।

ঐ দিনই ঠাকুরগাঁও কলেজের তৎকালীন ভিপি মোহাম্মদ আলীকে আহবায়ক করে একটি ‘‘সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম কমিটি’’ গঠন করা হয়। এছাড়া কেবল ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ে গঠন করা হয় ‘জয়বাংলা’ বাহিনী যার নেতৃত্বে ছিলেন আনসারুল হক জিন্নাহ। একই দিন এস,এম আজিজুল হকের নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।

১০ মার্চ তারিখে শহরের সর্বত্র কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দের আহবানে হাইস্কুলের শিক্ষক এম, ইউসুফ এগিয়ে আসেন ছাত্র যুবকদের রাইফেল ট্রেনিং দিতে। তিনি ছিলেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। রোভার স্কাউট এবং ইউ.ও.টি.সি ক্যাডেটদের জন্য নির্ধারিত ৫০ টি ডামী রাইফেল দিয়ে শুরু হয় প্রশিক্ষণ। সকালে হাইস্কুল মাঠে এবং বিকেলে পাবলিক লাইব্রেরীর মাঠে প্রশিক্ষণ চলে প্রায় ২০০ ছাত্র-যুবকের।

১১ মার্চ বৃহস্পতিবার, তৎকালীন এমপিএ এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ঢাকা থেকে ফিরে জনতার মিছিলে যোগ দেন এবং তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক তসলিম উদ্দিন আহমেদকে ছাত্র-জনতার সাথে একাত্ম হয়ে আন্দোলনকে গতিশীল ও সার্বিক সহযোগিতা করতে আহবান জানান। ৭ মার্চের ভাষণের পর দেশের প্রায় জেলখানাই খুলে দেয়া হয়েছিলো কয়েদীদের বের হয়ে আন্দোলনে শরীক হতে। তারই ধারাবাহিকতায় ঐদিন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলখানা খুলে দেয়া হয় এবং কয়েদীরা অনেকে আন্দোলনে শরীক হয়।

১২ মার্চ তারিখে মহিলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে মহিলাদের একক মিছিল বের হয়। মিছিলে মুর্শেদা করিম, সৈয়দা জাহানারা, শক্তি বর্ধন, দীপ্তিবর্ধন, শান্তি রাণী ঘোষ, লায়লা শামীম রোজী, কামরুন্নাহার জলি, মিসেস ফরিদা লতিফ, রুবি, মঞ্জু ইসলাম, ছবি সেন গুপ্তা, ভারতীয় গুহ ঠাকুরতা, উষাদি, শরীফা সাত্তার, কালী বাবুর স্ত্রী ও গোসাইবাবুর স্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে মহিলাদের সংগঠিত করেছিলেন। মহিলাদের হাতে ছিল দা, বটি ও ঝাড়ু। ভাবতে অবাক লাগে মহিলাদের এই মিছিলে স্থানীয় উপজাতি মহিলারাও তীর ধনুক হাতে অংশ নিয়েছিলো।

১৫ মার্চ তারিখে প্রকাশিত ‘দৈনিক পাকিস্তান’ পত্রিকায় প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর একটি বিবৃতি ও দেশের প্রশাসন ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য জারীকৃত ৩৫টি বিধির আলোকে ঠাকুরগাঁওয়ের সব সরকারী-আধা সরকারী অফিস আদালত এবং ব্যাংক-বীমা তাদের কাজ চালাতে শুরু করে।

১৬ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন রাইফেল ট্রেনিং, গণজমায়েত, মিছিল এবং বিকেলে পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে জনসভা ও সন্ধ্যায় দেশাত্ববোধক গান, গণসংগীত ও বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় বুদ্ধিজীবী, ছাত্র-ছাত্রী ও সংগীত শিল্পীগণ এতে অংশ নিয়েছেন।

এদিকে ২৩ মার্চকে সামনে রেখে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয় বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত নতুন পতাকা তৈরী করে উড়ানোর। ফালু খলিফার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ৬/৭ দিনেই তৈরী হয়ে যায় প্রায় ১০০০ পতাকা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসব পতাকার কাপড় সরবরাহ করেছিলেন।

একই সাথে মহকুমার অন্য ৯টি থানাতেও আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করেছিলো। স্থানীয় প্রগতিশীল ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ নিজেদের এলাকায় জনমত গঠন, মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করেছেন। ঠাকুরগাঁও শহর থেকে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসব সমাবেশে গিয়ে ভাষণ দিয়েছেন।

২২ মার্চ তারিখে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ গণমিছিল বের হয়। আওয়ামী লীগ, ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি, কৃষক সমিতির সব অঙ্গসংগঠন, ঠাকুরগাঁও সুগার মিল, ওয়াপদার শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ এতে অংশ নেন। সন্ধ্যায় বের হয় মশাল মিছিল। রাতেই বিতরণ করা হয় নতুন পতাকা।

২৩ মার্চকে আগেই ঘোষণা দেয়া হয়েছিলো ‘প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালনের। ২৩ মার্চ ছিল পাকিস্তান দিবস। এস, এম আসগর আলী এবং জর্জিসুর রহমান খোকাসহ বিপুল সংখ্যক ছাত্রজনতা ২৩ মার্চের সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয়ে পতাকা উড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে রাত কাটান ফজলুল করিম সাহেবের কাচারিতে। প্রত্যুষে দলবল নিয়ে মিছিল সহকারে রেজাউল হক বাবুলসহ তিনজনে মিলে মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয়ের উপর পতাকা উত্তোলন করেন। নিচে অগনিত মানুষ। এরপর থানা ভবনে গিয়ে পতাকা উত্তোলনে অবাঙালী প্রহরী কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হলেও তৎকালীন ওসি আবদুল গফুর নিজেই পতাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা নেন।

২৪ মার্চের গণ মিছিল ও গনজমায়েতসহ সর্বত্র শোভা পাচ্ছিলো নতুন পতাকা। ২৫ তারিখে মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয়ে কে যেন পাকিস্তানী পতাকা উড়িয়েছিলো এবং পরে তা নামিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিলো উত্তেজিত জনতা। সেখানে আবারো টানিয়েছিলো বাংলাদেশের পতাকা।

২৬ মার্চ সকাল থেকেই ঢাকার সাথে টেলিযোগাযোগ সম্ভব হচ্ছিলো না। মিছিল মিটিং আগের মতোই চলছিলো। আকাশবাণী, বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকা থেকে যাবতীয় খবর অবগত হয়েছিলো সবাই। ২৫ মার্চের অপরাশেন সার্চলাইট শুরু হবার পর থেকে বাঙালী নিধন ও আন্দোলন নস্যাত করতে পাকিস্তানী শাসকদের কার্যক্রম প্রত্যক্ষভাবে প্রকাশ পায়। শাসকগোষ্ঠীর অধীনে সেনাবাহিনী, তৎকালীন ইপিআর ও পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত বাঙালী ও অবাঙালীদের পৃথকীকরণের কার্যক্রম চলে। এরই ঢেউ এসে লাগে ইপিআর এর দিনাজপুর সেক্টরের অধীনে ঠাকুরগাঁয়ের ৯ম উইং-য়ে। ঠাকুরগাঁওস্থ ৯ম উইং-এর কমান্ডার ছিলেন পাঞ্জাবী অফিসার মেজর মোহাম্মদ হোসেন এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন অবাঙ্গালী ক্যাপ্টেন নাবিদ আলম। দিনাজপুর সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন পাঞ্জাবী অফিসার লে: কর্ণেল তারেক রসূল কোরাইশী। ৯ম উইং-এর বাঙালীদের মধ্যে সবেচেয়ে বড় অফিসার ছিলেন সুবেদার মেজর কাজিম উদ্দিন এবং সাধারণ সিপাহীদের সিংহভাগই ছিলেন বাঙালী।

সত্তরের নির্বাচনের সময় থেকে প্রচুর সামরিক সম্ভার নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৬ তম এফ,এফ এর একটি কোম্পানী দিনাজপুর সার্কিট হাউজে অবস্থান করছিলো। তারা সারাদেশে যোগাযোগের জন্য কুঠিবাড়ি ইপিআর ক্যাম্পে একটি শক্তিশালী ওয়্যারলেস সেট স্থাপন করেছিলো। ৭ মার্চের ভাষণের পর থেকে অবাঙালী এসব অফিসার ও জোয়ানদের গোপন তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছিলো।

২৫ মার্চ তারিখে মেজর মোহাম্মদ হোসেন ছিলেন পঞ্চগড় এলাকার সীমান্ত চৌকি পরিদর্শনে। দিনাজপুর সেক্টরের জরুরী বৈঠকে যোগ দেন ক্যাপ্টেন নাবিদ আলম। বৈঠকটি হয় অত্যন্ত গোপনীয় এবং সেখানে বাঙ্গালী অফিসার ও জোয়ানদের ভৎর্সনা করা হয়। ২৬ মার্চ সকালে মেজর মোহাম্মদ হোসেন ও ক্যাপ্টেন নাবিদ আলম একত্রিত হয়ে উইং-এর সব জেসিওদের মিটিং ডাকের। মেজর সাহেব সমবেত সবাইকে পাকিস্তান সরকারের জারীকৃত ফরমান পাঠ করে শোনান ও বাঙালীদের আন্দোলনের প্রতি কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখেন। মনে মনে প্রতিশোধ গ্রহণের প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কোন বাঙ্গালী জেসিও কোন কথা বলতে পারেননি। তাদের কাছে বাইরের পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ অজানা।

উইং কমান্ডারের নির্দেশে ইপিআর-এর টহল শুরু হয়। জনতা রাস্তায় রাস্তায় বেরিকেড দেয়া শুরু করে। ইপিআরদের টহল গাড়ীতে এদিন বাঙালি ও অবাঙালি উভয়ই ছিলো। বেরিকেড সরিয়ে তাদের টহল চলছিলো। ২৬ তারিখ সন্ধ্যায় মাইকিং করে সারা শহরে সান্ধ্য আইন বা কার্ফূ জারি করা হয়। কিন্তু কে শোনে কার নির্দেশ। উত্তাল জনতা কার্ফূ ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। সবারই লক্ষ্য কন্ট্রোল রুম থেকে কি নির্দেশ আসে। কিন্তু ঢাকার সাথে কোন যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছিলো না নেতৃবৃন্দের। অনেকের মুখে শোনা যাচ্ছিলো সংগ্রাম পরিষদের অব্যবস্থার কথা। এ সময় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়েছিলেন। ২৬ মার্চ সবার রাত কাটে ভীতিকর অবস্থায়। তবুও রফিউল এহসানের বাসায় নেতৃবৃন্দ গোপনে বৈঠকে বসেন রাতে।

পরদিন ২৭ মার্চ। কার্ফূ ভঙ্গ করে যথারীতি জনতার ভিড় হয় ফজলুল করিম সাহেবের কাচারির বা কন্ট্রোল রুমের সামনে। সেখান থেকে বের হয় মিছিল। সাউথ সার্কুলার রোড (চৌরাস্তা থেকে কালী বাড়ী মোড় পর্যন্ত) ধরে মিছিল এগিয়ে চলে কালী বাড়ির দিকে। ওদিকে ইপিআর ক্যাম্প থেকে একটা জীপে করে শহরের পরিস্থিতি দেখতে বের হয় মেজর মোহাম্মদ হোসেন, সুবেদার মেজর কাজিম উদ্দিন এবং ক্যাপ্টন নাবিদ আলম। তাদের পেছনের পিকআপ গাড়িতে ছিল ৮/১০ জন ইপিআর। একদিকে মাইকে ৭ মার্চের ভাষণ অন্যদিকে মিছিলের নানা শ্লোগানের এক পর্যায়ে কেরামত আলী মোক্তার সাহেবের বাসার সামনে আসে মিছিল। এখানে মুখোমুখি হয় মেজরের জীপ, টহলদার পিকআপের ইপিআর এবং জনতার। ঠাকুরগাঁয়ের তৎকালীন সিও ডেভ (যিনি ১৯৭০ থেকে ঠাকুরগাঁয়ে কর্মরত ছিলেন) আবদুল ওহাব আন্ধার মানিক ১৯৭২ সালে তার ‘অমর কাহিনীকার’ নামক গ্রন্থে ‘শহীদ মোহাম্মদ আলী সড়ক’ নামক সংবেদনশীল নিবন্ধে লিখেছেন-‘‘বেলা ১২ টা বেজে ১০ মিনিট। কেরামত আলী মোক্তার সাহেবের বাসার সামনে মিছিলটি এসে থেমে গেল। দক্ষিণ দিক থেকে দ্রুতবেগে ধেয়ে আসছিল একটি জীপ ও এক লরী সৈন্য। মেজরের জীপটা এসেও সামনে থামলো। উইং কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ হোসেন ও ক্যাপ্টেন নাবিদ আলম জীপ থেকে নামলেন। তাদের দেখে মিছিলে অংশগ্রহণকারী জনতা যেন বারুদের মত জ্বলে উঠলো। মিছিল থেকে অসীম সাহসী, বলিষ্ঠ দেহী, মুখে চাপদাড়ি মধ্য বয়সের মোহাম্মদ আলী নামের এক রিকসাচালক সবার সামনে চলে আসে। মেজর মোহাম্মদ হোসেনের সামনে গিয়ে দৃপ্ত ও অকুতোভয়-স্পষ্ট আওয়াজে চিৎকার দিয়ে ওঠে-জয়বাংলা। সাথে সাথেই পরপর তিনটা গুলির শব্দ হলো। একটা বিকট চিৎকার দিয়ে লুটিয়ে পড়লো একটি দেহ। ‘‘ঠাকুরগাঁয়ের প্রথম শহীদ মোহাম্মদ আলী।’’ গাড়ীতে উঠে মেজর তার সৈন্যসামন্ত নিয়ে ইপিআর ক্যাম্পে ফিরে গেল।

পাঞ্জাবী মেজরের এহেন বর্বরোচিত কর্মকান্ডে তাৎক্ষণিকভাবে মিছিল ও জনগণ ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও কয়েক মিনিটের মধ্যে আবার জড়ো হলো। খবর ছড়িয়ে পড়লো গোটা শহরে। জনতা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এলো রাস্তায়। এবার সিদ্ধান্ত হলো ইপিআর ক্যাম্প আক্রমনের। শহীদ মোহাম্মদ আলীকে রাস্তার পূর্বপাশেই দাফন করা হলো। মেজর মোহাম্মদ হোসেন ক্যাম্পে ফিরে গিয়ে পরিস্থতি সামাল দেবার জন্য সুবেদার মেজর কাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে তিন লরী ইপিআর প্রেরণ করে। ওদিকে শোকে বিহবল জনতার মিছিল ধেয়ে চলছিলো ইপিআর ক্যাম্পের দিকে। অবস্থার ভয়াবহতা চিন্তা করে কাজিমউদ্দিন নিচে নেমে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় সামনের সারির কয়েকজন নেতার সাথে কথা বলেন এবং তাদের পরিকল্পনা ও পরিস্থিতির বর্ণনা দেন। জনতা শান্ত হয়। মিছিল আবারো ফিরে আসে। রাস্তায় রাস্তায় বড় বড় গাছ কেটে বেরিকেড তৈরী হয়। সন্ধ্যায় আবারো কার্ফূ্য জারী করা হয় মাইকে। ক্যাম্পের মধ্যে সুবেদার মেজর কাজিম উদ্দিন গোপন আলোচনায় বসেন সুবেদার হাফিজ, সুবেদার আতাউল, নায়েব সুবেদার মতিউর রহমান, হাবিলদার আবু তালেব ও নায়েক আব্দুল হাকিমকে নিয়ে।

২৮ মার্চ রোববার। প্রচন্ড রোদের মধ্যেও আবারো মিছিল-বিক্ষোভ। মিছিল গিয়ে জনসভায় রূপ নেয় ঠাকুরগাঁও হাইস্কুল মাঠের অশ্বত্থ তলায়। এফ,এ মোহাম্মদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ভাষণ দেন আসগর আলী, আনোয়ার হোসেন, জর্জিসুর রহমান, রেজাউল হক, বজলার রহমান, আবদুল লতিফ মোক্তার, আবদুর রশীদ মোক্তার এবং সিরাজুল ইসলাম এমপিএ। জনসভায় ঘোষণা করা হয় আজ থেকে কন্ট্রোলরুম করা হলো- এসডিও অফিসের সামনের বটতলায় দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট একটি টালীর ঘরকে। মিটিং শেষে মিছিল করে জনতা সেখানে যায়। তখন বেলা ৩টা। ইপিআরের একটি টহল গাড়ি গোয়াল পাড়ার কাছ দিয়ে যাচ্ছিলো। গাড়ি দেখে পশ্চিম পাশে একটি কুঁড়ে ঘর থেকে একটি ৭/৮ বছরের শিশু চিৎকার দিয়ে উঠেছিল ‘জয়বাংলা’। চিৎকারের শব্দ লক্ষ্য করে টহল গাড়ি থেকে রাইফেলের গুলি ছোড়া হলে ঘটনাস্থলে নিহত হন হলপাড়ার সন্তুকী চৌহানের শিশু পুত্র নরেশ চৌহান-পাঁচ মিনিট আগেই যে আরেকটি শিশুর সাথে রাস্তায় দৌড়াদৌড়ি করছিলো। নরেশ চৌহানকে ধর্মীয় মতে সৎকার করারও সাহস হয়নি তাদের। ভয়ে কেউ এগিয়েও আসেনি। দ্রুত বাড়ির সামনে রাস্তার পূর্বপাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

এ ঘটনায় শহরবাসী আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ অনেকখানি মুষড়ে পড়েছিলেন। তবুও তারা যোগাযোগ করেন সুবেদার মেজর কাজিম উদ্দিনের সাথে। ওদিকে মেজর মোহাম্মদ হোসেন ও ক্যাপ্টেন নাবিদ আলম, অবাঙালী ইপিআরদের নিয়ে গোপনে বৈঠক করে রাত পৌনে এগারোটায় সমস্ত বাঙালী সৈন্যদের হত্যা করার পরিকল্পনা করে। এ খবর টের পেয়ে যান সুবেদার হাফিজ। ফলে তাঁরাও নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পাঞ্জাবীদের আক্রমণের আগেই আক্রমন চালিয়ে সমস্ত অবাঙালী ইপিআরদের হত্যা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং সেভাবেই কাজ হতে থাকে।

রাত ১০ টা ১৮ মিনিট। পরিকল্পনা মোতাবেক সুবেদার হাফিজের স্টেনগানটা গর্জে ওঠার সাথে সাথেই অন্যান্য সব বাঙালী সেনাদের কাছে রক্ষিত হাতিয়ারগুলো গর্জে ওঠে। ভীত হয়ে পড়ে শহরের সাধারণ মানুষ। কিন্তু যখন শোনা গেল ‘জয়বাংলা’ শ্লোগান এবং সাধারণ মানুষকে এগিয়ে এসে সহায়তা করার উদাত্ত আহবান তখন মানুষ ছুটে এলো রাতের অন্ধকার সত্ত্বেও। জনগণ তাদের সাধ্যমত খাবার ও পানি নিয়ে এগিয়ে আসেন। সারারাত এভাবে অবাঙালীদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হলো। পরের দিন খোচাবাড়ীতে সস্ত্রীক ক্যাপ্টেন নাবিদ আলমকে এবং ৩০ মার্চ তারিখে সস্ত্রীক মেজর মোহাম্মদ হোসেনকে তার বাংলোতে হত্যা করা হয়।

২৮ মার্চের রাতের ঘটনার পর আন্দোলন ও সশস্ত্র সংগ্রামের কেন্দ্র বিন্দুতে চলে আসেন সুবেদার মেজর কাজিম উদ্দিন। তিনি সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে বসেন ২৯ তারিখে। সামনের দিনগুলোর ভয়াবহতা এবং সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে সাজেয়া বাহিনী ও আকাশ পথে বিমান আক্রমনের সম্ভাব্যতা সকলকে ভীতসস্ত্রস্ত করে তুলে।

২৯ মার্চ সব দিকের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় যে সমস্ত সামরিক ও আধাসামরিক সেনাসদস্য ছুটিতে ছিলেন বা যারা পালিয়ে বেঁচেছেন তারা এসে যোগ দিলেন কন্ট্রোলরুমে। একটা নিয়মিত বাহিনীর মত করে অগ্রগামী দল হিসেবে প্রতিরক্ষা ব্যুহ রচনা করা হলো ভাতগাঁও ব্রীজের কাছে। সে পর্যন্ত রাস্তার পাশ ধরে পরিখা খনন ও গাছ কেটে বেরিকেড তৈরীর কাজ চলে পুরোদমে।

আবারো শুরু হলো রাইফেল ট্রেনিং। এবার আর ডামী দিয়ে নয়। এবার মূল রাইফেল দিয়ে। ইপিআরদের অস্ত্রগারের সমস্ত হালকা অস্ত্র একদিনের মধ্যে চলে আসলো সাধারণ মানুষের হাতে। বিওপিতে কর্মরত অবাঙালী ইপিআরদের নিরস্ত্র ও হত্যা করা হয়। প্রতিরক্ষা ব্যুহতে নিয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা ও এদিকে যারা সারা দিনব্যাপী ট্রেনিং দিচ্ছিলো, পরিখা খনন করছিলো, বেরিকেড সৃষ্টিসহ বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত ছিল তাদের যথাসময়ে খাবার সরবরাহের জন্য ২টি লঙ্গরখানা খোলা হয়। ডিফেন্সের জন্য খাবার তৈরী হয় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা বিদ্যালয় মাঠে- যারা দায়িত্বে ছিলেন নূরুল ইসলাম ছুটু ও ফনি পালিত অন্যটি স্থাপিত হয়েছিলো সাধারণের জন্য সিরাজদ্দৌলা সড়কের বেলতলায়। অবস্থা আঁচ করতে পেরে ঐদিনই আওয়ামী লীগ নেতা আকবর হোসেন ও জগন্নাথ গুহ ঠাকুরতা মোটর সাইকেলে তেঁতুলিয়া হয়ে চলে যান শিলিগুড়ি। বাংলা বান্ধার ওপর ফুলবাড়িয়ার কংগ্রেস নেতা চন্ডী বাবুকে নিয়ে তারা তৎকালীন মন্ত্রী অরুন কুমার মৈত্রের বাসায় দেখা করে সঠিক অবস্থা বর্ণনা করেন। সেখানে তখন তেঁতুলিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা কামরুল হোসেনের সাথে দেখা হয়। তিনজনে মিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সহায়তার আবেদন জানান। ভারতীয় লোকজন স্থায়ীভাবে ‘মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রাম সহায়ক কমিটি’ গঠন করে ১ ট্রাক ভর্তি লবন, কয়েক ড্রাম তেল, চিনি, সিগারেট, ব্যাটারী, ডাল ও সাবান সাহায্য হিসেবে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

ওদিকে দিনাজপুরের কুঠিবাড়ির ৮ নম্বর উইংও বাঙালিদের দখলে আসে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে। ফলে ঠাকুরগাঁও দিনাজপুরের বাঙালি সেনা অফিসারের একত্রে সৈয়দপুর সেনানিবাস থেকে সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিহত করার উপায় খুঁজতে থাকলেন।

বিকেলে আব্দুর রশীদ মোক্তার ও বলরাম গুহ ঠাকুরতা কলকাতা রওয়ানা হয়ে যান সহায়তা প্রাপ্তির আসায় এবং সুবেদার মেজর কাজিম উদ্দিন চলে যান ভারতের ৭৫ বিএসএফ কমান্ডের কর্ণেল ব্যানার্জীকে এগিয়ে আসার আমন্ত্রণ জানাতে।

১ এপ্রিল কর্ণেল ব্যানার্জী ঠাকুরগাঁও আসেন। সিরাজুল ইসলাম এমপিএসহ তিনি শিবগঞ্জ বিমান ঘাটি, ইপিআরদের অগ্রবর্তী ঘাঁটি পরিদর্শনসহ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেন। বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী মি: রেজা নিজেই ১০ মাইলে স্থাপিত পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন স্টেশনের টাওয়ারে উঠে বিদুৎবাহী তার বিচ্ছিন্ন করে দেন। আবুল হাসনাত ভেলার নেতৃত্বে ঠাকুরগাঁও সুগারমিলের শ্রমিকদের সহায়তায় জনগণ শিবগঞ্জ বিমান বন্দরের রানওয়েতে বিরাট বিরাট গাছ কেটে ফেলে রাখেন।

২ এপ্রিল : শুক্রবার। পাবলিক লাইব্রেরীর মাঠে রাইফেল চালনা প্রশিক্ষণকালে সেখানে এসে সবার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর এম.টি. হোসেন। এদিক থেকে তিনিই যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে যান। কামিজ উদ্দিন তাঁর সহকারী হয়ে থাকলেন। এতে প্রতিরোধ ব্যবস্থায় জীবন ফিরে আসে। সৈয়দপুর সেনানিবাস থেকে পালিয়ে আসা বাঙালি অফিসার ক্যাপ্টেন আশরাফ ও ক্যাপ্টেন আনোয়ার যোগ দেন দিনাজপুর উইং এর সাথে। ক্যাপ্টেন আশরাফকে ঠাকুরগাঁও উইং এর সাথে যোগ দিতে মির্জা আলমগীর দিনাজপুর যান।

৩ এপ্রিল : শনিবার মেজর এম,টি হোসেন স্থানীয় ডাকবাংলোতে যুদ্ধ পরিচালনা সংক্রামত্ম তাঁর অফিস স্থাপন করেন এবং অধীনস্ত জেসিও এনসিওদের দায়িত্ব বণ্টন করেন। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নতুন মাত্রা যোগ হয়। এলাকার যাবতীয় কার্যক্রম নিয়ে উর্দুতে লিখা একটি চিঠি ধরা পড়ার প্রেক্ষিতে এদিন সবচেয়ে অবাঞ্চিত ঘটনা ঘটে। অবাঙালি জনৈক লোকের হাতে প্রাপ্ত চিঠিতে সব গোপন তথ্য ছিল যা নাকি সৈয়দপুর সেনা নিবাসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। ফলে অবাঙালি হত্যা শুরু হয়। যা চলে পরবর্তী দুই দিন।

এর পর থেকে ভীতিকর অবস্থা নেমে আসে গোটা শহরে। অবাঙালীদের বাড়িঘরের সব মালামাল এনে জমা করা হয় আদালত প্রাঙ্গণের কন্ট্রোল রুমে। এখানের সঠিক ইনচার্জ কে ছিলেন আর শেষ অবধি কি কি মালামাল পাওয়া গিয়েছিলো তার কোন সঠিক হিসাব বা তথ্য কেউ পরবর্তীতে দিতে পারেননি।

৪ এপ্রিল তারিখ থেকে সাধারণ মানুষ আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ে। একদিকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার যেমন কোন খবর পাওয়া যাচ্ছিলো না অন্যদিকে অবাঙালি নিধনের জের কিভাবে কার উপর এসে পড়বে তা নিয়ে সবাই আলোচনা করছিলো। আগের দিনের চেয়ে আদালত প্রাঙ্গনে উৎসুক জনতার ভিড় কম মনে হলো। এদিন থেকেই নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ তাদের পরিবার পরিজন শহর থেকে গ্রামের দিকে সরিয়ে দিতে শুরু করেন।

৫ এপ্রিল সকাল ১০ টা নাগাদ শহর ছিল প্রায় ফাঁকা। রাতারাতি অধিকাংশ শহরবাসীই তাদের আত্মীয়-স্বজনদের গ্রামীণ এলাকায় সরিয়ে দিয়েছে বলে জানা যায়। ওদিকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বেশকিছু গুজব ছড়িয়ে পড়ে যা ভীতিপ্রদ। ডাকবাংলো থেকে নির্দেশ পেয়ে মাইকে ঘোষণা করা হয় যে, যাদের কাছে রাইফেল আছে তারা যেন তা ডাকবাংলোতে জমা দিয়ে এন্ট্রি করে নেন এবং যুদ্ধে যোগদান করেন।

৬ এপ্রিলের অবস্থা ছিলো আরো নাজুক। কন্ট্রোল রুম খোলার জন্য কোন দায়িত্ববান লোকও পাওয়া যাচ্ছিলো না। শহরের দোকানপাট বাড়িঘর পাহারা দেবার জন্য যারা রাতে ছিলেন তারাও আদালত প্রাঙ্গনে আসতে আসতে দুপুর করে দিয়েছেন। সবার চোখে মুখে ছিল আতংক। ঢাকাসহ অন্য কোন জায়গায়ই কোন সঠিক খবর কেউ দিতে পারতো না। রাতে বিবিসি, বয়েস অব আমেরিকা এবং আকাশবাণীর সংবাদ ছিল মূল আকর্ষণ।

৭ এপ্রিল : বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে দিনটি স্মরণীয়। এদিন ‘দৈনিক বাংলাদেশ’ নামে একটি সংবাদপত্রের প্রকাশ ঘটে। ঠাকুরগাঁও ওয়াপদার কর্মকর্তা কাজী মাজহারুল হুদা-পূর্বের বেশ কয়েকদিনের বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সময়ের তাগিদে জনগণের মনোবল বৃদ্ধি ও ফ্রন্টলাইনের খবরসহ মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত বিশ্বজনমত তুলে ধরার ব্যাপারে বেশ কয়েকজনের সাথে আলাপ করেন। ফলশ্রুতিতে স্থানীয় সুলেখা প্রেস থেকে ১/৮ ডিমাই সাইজের ৪ পৃষ্ঠার ৫০০ কপি পত্রিকা ছাপানো হয়। মূল্য ছিল ১০ পয়সা। একটি সংখ্যার ব্যানার হেড ছিল ‘গণচীন একটি কাগুঁজে বাঘ’ যা আকাশবানী থেকে দেবদুলাল বন্দোপাধ্যায় পাঠ করেছিলেন ও পত্রিকাটির গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। রাত জেগে গ্রুফ দেখা ও ছাপিয়ে পরের দিন সকালে পাঠকের হাতে তুলে দিতে বেশ বেগ পেতে হতো। এভাবে পর পর ৬টি সংখ্যা বের করা হয়। পত্রিকাটির গ্রহণযোগ্যতা ছিল বর্ণনাতীত। ২য় সংখ্যা থেকে ১০০০ কপি ছাপানো হয়। পরবর্তীতে পত্রিকাটি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুর শহর থেকে প্রকাশিত হয়। কবি আবুল হোসেন সরকারও কয়েকটি সংখ্যা সম্পাদনা করেছেন। স্বাধীন বাংলাদেশের এটিই প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র।

৮ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল : এই সাতদিন ছিল শহরবাসীর সবচেয়ে উৎকণ্ঠার দিন। কয়েকজন ছাত্রনেতা ও কর্মী, কয়েকজন দোকানদার এবং ট্রেজারী ও থানা এলাকায় প্রহরী ছাড়া কেউ রাতে শহরে থাকেননি। সকাল হলে অবস্থা বুঝে সংবাদ নিয়ে তারপর টাঙ্গনের এপাড়ে শহরে ঢুকেছেন সবাই। এসব দিনগুলোতে শহরের ফাঁকা অবস্থা নিরসনে সকলকে নিজ নিজ গৃহে ফিরে আসার আহবান জানিয়ে মাইকে ঘোষণা প্রচার করা হয় ও ফিরে না এলে বাড়িঘর বাজেয়াপ্ত করা হবে বলেও জানানো হয়।

১৪ এপ্রিল রাতে স্থানীয় ‘ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান’ এর ভোল্ট ভেঙ্গে রাতের বেলায় সমস্ত টাকা পয়সা ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। শহরবাসী এ খবর জানতে পারে ১৫ এপ্রিল। পয়সার বাক্সসহ দু’জনকে আটকও করা হয়েছিল। অবশ্য পরে সমস্ত ঘটনা জানা গিয়েছিলো। তথ্যমতে জানা যায় এ টাকা পরবর্তীতে মুজিবনগর সরকারের তহিবলে জমা হয়েছিলো।

১৫ এপ্রিল : বেলা ১১ টা। শহরে রাত যাপনকারী কয়েকজন লোক, কয়েকজন ছাত্র নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন আদালত প্রাঙ্গণে। গ্রাম থেকে লোকজন এখনো পুরোপুরি আসেনি। মাইকে ঘোষনা করা হচ্ছিলো- পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে, আমাদের অগ্রগামী বাহিনী সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টের কাছে পৌছে গেছে ইত্যাদি-ইত্যাদি।

হঠাৎ শহরের দক্ষিণ প্রান্তে বিকট শব্দে একটা শেলের বিস্ফোরণ হলো। মানুষ তখন দিগবিদিক জ্ঞান হারা হয়ে ছুটতে শুরু করলো উত্তর দিকে। সবারই এক উদ্দেশ্য-টাউন ছাড়তে হবে, টাঙ্গন নদীর ওপারে যেতে হবে। গ্রাম থেকে আরো প্রত্যন্ত এলাকা হয়ে সীমান্তে পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্যেমূলক নিরুদ্দেশ যাত্রার যাত্রী হয়ে পালাতে লাগলো সবাই। পিছনে তাকিয়ে অনেকেই দেখলো দাউ দাউ করে জ্বলছে এসডিও সাহবের বাংলো। গোটা শহরের আকাশে কেবল আগুনের কুন্ডুলী।

নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে বালিয়াডাঙ্গী, আটোয়ারী, পঞ্চগড় ও হরিপুরের সীমান্ত এলাকা দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নিলো ভারতীয় শরনার্থী শিবিরে। ২৫ মার্চের ২০ দিন পর ঠাকুরগাঁও শহর শত্রু কবলিত হলো। এদিকে সৈয়দপুর সেনানিবাসের সাজোয়া ইউনিট ও ট্যাংকের সামনে টিকতে না পেরে মুক্তিযোদ্ধারা একে একে পিছু হটে আসছিলো যা কেউই সাধারণ মানুষকে জানায়নি। সাধারণ মানুষ ছিল বেশ অসহায়। মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটতে হটতে পঞ্চগড়ে গিয়ে ডিফেন্স নেন। ২৯ এপ্রিল পঞ্চগড়ের পতন হয়। শেষ অবধি তেঁতুলিয়া থানার ভোজনপুরে চাওই নদীর ব্রীজ ভেঙ্গে দিয়ে উত্তর পাড়ে মুক্তিবাহিনী ডিফেন্স নিয়েছিলো। ভোজনপুর থেকে বাংলা বান্ধা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ ৭৪ বর্গমাইলের তেঁতুলিয়া থানাটি ছিল সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত। চাওই নদীর ব্রীজ ভাঙ্গা থাকার কারণে পাকিস্তানী সেনারা আর অগ্রসর হতে পারেনি। তাছাড়া জগদল, মাগুরমারী, অমর খানা এলাকা নিতান্তই সীমান্তবর্তী বিধায় নিরাপত্তার দিক দিয়েও তারা এগুতে সাহসী হয়নি।

৭৪ বর্গমাইলের এই তেঁতুলিয়াকে ঘিরে গড়ে উঠেছিলো মুজিবনগর ভিত্তিক বেসামরিক প্রশাসন ব্যবস্থা। এখান থেকেই যুদ্ধ পরিচালনা করা হতো। বেশ কিছু দিন তেঁতুলিয়া ডাক বাংলোতে বসত করেছেন এম,কে বাশার। এখান থেকে আমার সম্পাদনায় প্রকাশ করা হয়েছিল ‘সাপ্তাহিক সংগ্রামী বাংলা’ যা স্বাধীনতাত্তোরকালে ঠাকুরগাঁয়ের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলো।

এর পরের দিনগুলো প্রতিরোধের এবং সম্মুখ যুদ্ধের। অবরুদ্ধ শহরে খান সেনাদের সহায়তাকারী কিছু অবাঙালি ও মালদাইয়াদের কারণে বেশ কিছু হত্যাকান্ড ঘটেছে। পীরগঞ্জ কলেজের অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, কোসা রাণীগঞ্জের সালাহ উদ্দিন, ফাড়াবাড়িতে পানির কূপে শহর আলী বহর আলীসহ ১৮ জন, ভাতারমারি ফার্মের পাশে হত্যাকান্ডসহ খুনিয়া দিঘি, জাটিয়া ডাঙ্গা, ওয়াপদা ওয়ার্কশপ, পায়েন্দানা চৌধুরী পাড়া, রুহিয়ার রামনাথ হাটসহ বিভিন্ন স্থানের হত্যা ও গণ কবর এবং বাঘের খাচায় নির্যাতনের ভয়াবহ শিকার হয়েছে ঠাকুরগাঁওবাসী।

ঠাকুরগাঁও এলাকার মানুষ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কর্পুরী ঠাকুর ও পশ্চিম বঙ্গ সরকারের মানবিক আচরণের জন্য থুকরাবাড়ি, রাজগঞ্জ কিশোরীগঞ্জ ভৈষপিটা, দাড়িভিট, পাটাগড়া, মাটিকুন্ডা ও ইসলামপুর শরনার্থী শিবিরে ঠাঁই নিয়েছিলেন। অনেকে বেসামরিক প্রশাসন ব্যবস্থার মধ্যে দেখতে ও মুক্ত ভূমিতে থাকার মানসিকতায় তেঁতুলিয়া থানা সদরে থেকেছেন।

এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখে এমপিও সিরাজুল ইসলাম তাঁর পরিবার নিয়ে তেঁতুলিয়া আসেন এবং এখানেই শেষ অবধি ছিলেন। গোটা একটি থানা শত্রুমুক্ত থাকার সুবাদে বিদেশী গবেষক, সাংবাদিক ও পর্যটক এখানে এসেছেন। মুজিবনগর সরকারের সব পদস্থ কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দ এখানে এসেছেন। এক বার তো কথাই উঠেছিল-‘স্বদেশের মাটিতেই রাজধানী’ ও প্রশাসন চালু করার। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় যুদ্ধ পরিচালনা করা হয়। মহকুমার ১০টি থানার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে যুদ্ধ করেছেন।

২১ নভেম্বর থেকে সাজোয়া বাহিনী নিয়ে অগ্রসর হয়েছে মিত্রবাহিনী। ৩০ নভেম্বর পঞ্চগড় মুক্ত হয়। খান সেনারা পিছু হটতে থাকে অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি করতে, ঠাকুরগাঁও শহর মুক্ত হয় ডিসেম্বরের ২ তারিখ রাতে অর্থাৎ ৩ তারিখে।

সম্ভবত : বাংলাদেশের একমাত্র মহকুমা ঠাকুরগাঁও যা খান সেনাদের দ্বারা দখল হয়েছে পরে এবং মুক্ত হয়েছে সবার আগে। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধ বললেও ঠাকুরগাঁও বাসী মাত্র সাড়ে সাত মাস অর্থাৎ ৩২১ দিনের মাথায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেমের প্রথম স্বাধীন মহকুমার ঐতিহাসিক গৌরব নিয়ে মুক্তদেশের পতাকা উড্ডীয়ন করেছে।

সুত্রঃ ঠাকুরগাঁও জেলাঃ

ক্রঃ

ভাতাভোগীরনাম

পিতারনাম

মাতারনাম

জন্মতারিখ

ইউনিয়ন

ভাতা

1

মোঃ আঃ মজিদ

মোঃ লুকমান আলী

মৃঃরহিমুনখাতুন

25-02-1951

পৌরসভা

24000/

2

মোঃ আমির হোসেন

সুন্দর আলী

সামলা

24-10-1952

পৌরসভা

24000/

3

আজেজা বেওয়া

গেফুর

খেতেজা

10-10-1959

পৌরসভা

24000/

4

হাফিজুররহমান

হুজুর আলী

আলেফা

01-01-1951

পৌরসভা

24000/

5

আঃ সবুর খান

আঃ গণি

আপিজান

12-09-1947

পৌরসভা

24000/

6

মোছাঃ রহিমা বেওয়া

আঃ গফুরি

হামিজান

12-03-1952

পৌরসভা

24000/

7

মোঃ বাদশা

আলী ব্যপারী

রহিমজান

19-07-1952

পৌরসভা

24000/

8

মোছাঃ নিহার বেগম

দবির মোহাঃ

হাকিমন

12-02-1961

পৌরসভা

    24000/

9

শী দেবেন্দ্র নাথ

খসরু নাথ

শ্যামলীরিানী

06-07-1948

পৌরসভা

24000/

10

মোঃ সলিম উদ্দিন

জিয়ারত আলী

মৃঃজামিরন

28-03-1946

পৌরসভা

24000/

11

কুলসুম বেগম

লনি মিয়া

মৃঃজাহানরি

11-02-1946

পৌরসভা

24000/

12

সুফিয়াবেওয়া

আজমত

আফিজান

09-09-1968

ভোমরাদহ

24000/

13

সপিন চন্দ্র

সোহালু রাম

সিজোবালা

13-12-1949

ভোমরাদহ

24000/

14

সমেশ চন্দ্র শীল

টেমক লার

টুপিবেওয়া

13-02-1953

ভোমরাদহ

24000/

15

শ্রী ধরনী কান্ত

ওড়াল রাম

টুলটুলিরাণী

15-09-1937

ভোমরাদহ

24000/

16

নুর নেহার

আলহাজ মোঃ আনিায়ারুল

মাহমুদাখাতুন

25-03-1963

পেৌরসভা

24000/

17

মোঃ নবির উদ্দিন

সমির উদ্দিন

আসিয়াখাতুন

12-03-1952

ভোমরাদহ

24000/

18

প্রমিলা বেওয়া

ধন রারায়ন

বিনদাবালা

06-10-1952

ভোমরাদহ

24000/

19

শ্রীমতি রীতি রানী

জসনু

ঢোলন

15-02-1958

ভোমরাদহ

24000/

20

পরক্ষিত চন্দ্র রায়

ইন্দ্র মোহান

দয়ারানীরায়

02-06-1951

সেনগাঁও

24000/

21

রবীন্দ্র নাথ রায়

শ্রী অবিনাশ চন্দ্র

অন্যদারায়

04-08-1953

কোষানানীগঞ্জ

24000/

22

মোঃ রফিকুল ইসলাম

সামসুল হক

রহিমাখাতুন

12-03-1952

কোষারাণীগঞ্জ

24000/

23

শ্রী অক্ষয় কুমার রায়

ধৈয্য নারাযন রায়

হেলনবালা

20-11-1956

কোষারাণীগঞ্জ

24000/

24

শ্রী কৃষ্ট চন্দ্র রাযয়য়

মানিক চন্দ্র রায়

সাবিত্রীরানীরায়

20-11-1956

কোষারাণীগঞ্জ

24000/

25

মোঃ মসলিম উদ্দিন

মজিদ উদ্দিন

 

20-11-1956

কোষারাণীগঞ্জ

24000/

26

শ্রী নারায়ন চন্দ্র রায়

উল­াশ চন্দ্র রায়

ভাগ্যরানী

21-02-1941

খনগাঁও

24000/

27

শ্রী অমরেস চন্দ্র রায়

দিলশ্বর রায়

কুলদারাম

21-02-1941

খনগাঁও

24000/

28

মালেকা বেগম

বলোর উদ্দিন

ভন্তাই

20-11-1956

খনগাঁও

24000/

29

শ্রী ধীরেন চন্দ্র আয়

মেখেরু রাম রায়

শয়ানাবালারায়

20-11-1956

খনগাঁও

24000/

30

পরিবালাবেওয়া

গৌর রাম রায়

মলমনিরানীী

20-11-1956

খনগাঁও

24000/

31

শ্রী বলভদ্র রায়

সদাল চন্দ্র রায়

পুনোরানী

20-11-1956

খনগাঁও

24000/

32

শ্রী হরি গোপাল রায়

কারক লাল রায়

দুন্দোরানী

11-02-1959

খনগাঁও

24000/

33

শ্রী দীনেশ চন্দ্র রায়

গোবিন্দ বর্মন

সমারী

20-04-1958

খনগাঁও

24000/

34

শুশি বেওয়া

পাগালু রাম রায়

মনিষারানী

01-02-1947

খনগাঁও

24000/

35

শ্রী সুরেশ চন্দ্র রায়

রজনী কামত্ম রায়

দুন্দোরানী

21-02-1941

খনগাঁও

24000/

36

শ্রী কালিপদ অধীকারী

শ্রী ঝন্টু রাম রায়

ভূষিবালা

11-02-1946

খনগাঁও

24000/

37

শ্রী গজেন্দ্র নাথ রায়

ব্রজমোহন রায়

মানতীরানী

11-02-1953

খনগাঁও

24000/

38

শ্রী কিরন চন্দ্র রায়

অনাথ চন্দ্র রায়

জিলাবেওয়া

12-03-1952

খনগাঁও

24000/

39

শ্রী ধনোগোপাল রায়

চুটাই রাম রায়

চুমানীরায়

20-03-1951

খনগাঁও

24000/

40

শ্রী ছত্র মোহন রায়

চিত্র কান্ত রায়

যমুনারায়

20-04-1958

খনগাঁও

24000/

41

বীর ভদ্র রাম

সদানন্দ রায়

পুনোবালা

02-03-1955

খনগাঁও

24000/

42

নরেশ চন্দ্র রায়

সচিন চন্দ্র রায়

ডুমোশ্বরী

12-03-1952

খনগাঁও

24000/

43

দৈব বালা

ধনি রাম রায়

ঠান্ডাশ্বরী

20-03-1944

খনগাঁও

24000/

44

কৌশলা বেওয়া

প্রথম রায়

সুমিত্রারায়

11-02-1946

খনগাঁও

24000/

45

ধনেশ্বর রায়

অশ্বিনী কুমার রায়

বিন্দারানীরায়

20-11-1956

খনগাঁও

24000/

46

হরিপ্রসাদ রায়

সাধব চন্দ্র রায়

কেমাজিরানী

21-02-1942

খনগাঁও

24000/

47

শ্রী মতি লাল রায়

পবন চন্দ্র রায়

শুরুধনিবালা

10-03-1953

সৈয়দপুর

24000/

48

শ্রী অখিল চন্দ্র রায়

আনন্দমোহন রায়

বাতাসীরানী

12-11-1952

সৈয়দপুর

24000/

49

আঃ আজিজ

শুধু মোহাঃ

লতিফন

20-11-1956

পীরগঞ্জ

24000/

50

জোজন্না হেনা

সফিউদ্দিন আহম্মেদ

রাবেয়া

22-03-1942

পীরগঞ্জ

24000/

51

মোঃ ইয়াসিন আলী

মজিবর রহমান

রমেশাবেগম

12-03-1952

পীরগঞ্জ

24000/

52

তমিজ উদ্দিন

তমির উদ্দিন

শখিনা

20-11-1956

পীরগঞ্জ

24000/

53

আনসারুল আলম

আঃ আজিজ

সালেহা

20-04-1956

পীরগঞ্জ

24000/

54

তফেলা

কমল

সখিনাখাতুন

20-03-1955

হাজীপুর

24000/

55

রাজিয়া বেওয়া

ধাধুয়া

হাসমতি

20-11-1956

হাজীপুর

24000/

56

তমিনা বেওয়া

আঃ হামিদ

ছুটুমাই

21-03-1959

হাজীপুর

24000/

57

কাদিম উদ্দিন

সুধির মন্ডল

সখিমন

20-04-1958

হাজীপুর

24000/

58

সহিদুর রহমান

মহববত আলী

আইমন

01-02-1947

হাজীপুর

24000/

59

আঃ মান্নান

নুফাজ উদ্দিন

মরিয়ম

12-03-1952

হাজীপুর

24000/

60

সাহেরা বেওয়া

 

সখি

11-02-1946

হাজীপুর

24000/

61

বশিরা

আঃ হামিদ

হামেদাবেগম

12-03-1952

হাজীপুর

24000/

62

মো:খোরশেদ আলী

আতিয়ার রহমান

আজিরন

12-03-1952

হাজীপুর

24000/

63

হাফিজুর রহমান

ধন মোহাম্মদ

ফাতেমা

25-06-52

হাজীপুর

24000/

64

মোঃ খেজমত আলী

শিশুয়া মোহাঃ

মহিরন

05-08-1953

হাজীপুর

24000/

65

মোঃ হোসেন আলী

চেকিয়া মোহাঃ

চানমনি

18-12-1945

হাজীপুর

24000/

66

মোহাম্মদ আলী

তাজো মোহাঃ

বুধন

12-03-1952

হাজীপুর

24000/

67

মোঃ আকবর আলী

তাফুর উদ্দিন

গফিরনবিবি

03-04-1941

হাজীপুর

24000/

68

সোলায়মান আলী

চেরাকু মোহাঃ

সমিরনবেগম

20-03-1942

হাজীপুর

24000/

69

মোঃ ইসমাইলহোসেন

কমির উদ্দিন

সিাফিজা

20-11-1956

হাজীপুর

24000/

70

রেজিয়া বেওয়া

কালু

পতিজান

21-03-1942

হাজীপুর

24000/

71

মোঃ আঃ জববার

সুকুর আলী

তসিরন

12-03-1952

হাজীপুর

24000/

72

মোকসেদ আলী

খতিবউদ্দিন

তফেজাখাতুন

20-11-1956

দৌলতপুর

24000/

73

কনশ্বরী

জাদব চন্দ্র

ঝবুরী

20-04-1958

দৌলতপুর

24000/

74

শ্রী বিনয় চন্দ্র রায়

ধানকী চরন রায়

পদমনি

21-02-1955

দৌলতপুর

24000/

75

কমলা

টেনটেনিয়া

বেহানশরি

12-03-1952

দৌলতপুর

24000/

76

মোঃ রমজান আলী

জসিরউদিাদন

ফাতেমা

21-01-1944

দৌলতপুর

24000/

77

শ্রী জিতেন কুমার রায়

বীরেন্দ্র নাথ

রতনবালা

11-02-1946

দৌলতপুর

24000/

78

সখিনা

বুধু মোহাঃ

দজিবউদ্দিন

21-05-1956

দৌলতপুর

24000/

79

গোপাল চন্দ্র রায়

বনুয়ারাম রায়

লালছড়ি

10-10-1941

সেনগাঁও

24000/

80

হরেন্দ্র নাথ রায়

টুনা রাম রায়

বান্নীরানী

10-05-1940

সেনগাঁও

24000/

81

সমির উদ্দিন

আমির উদ্দিন

নয়নরানী

01-+02-1948

সেনগাঁও

24000/

82

দবিরুল ইসলাম

সাতানু মোহাঃ

বশিরন

07-06-1941

সেনগাঁও

24000/

83

সহরাব আলী

দবির উদ্দিন

মোরশেদা

01-05-1942

সেনগাঁও

24000/

84

,মোঃ আঃ রাজ্জাক

ওয়াজ উদ্দিন

রুপজান

14-04-1951

সেনগাঁও

24000/

85

নজিব উদ্দিন

মধু মোহা্মদ

তজিরন

04-11-1950

সেনগাঁও

24000/

86

,মোঃ কোরবান আলী

রিয়াজ উদ্দিন

মিনাবেগম

05-09-1960

সেনগাঁও

24000/

87

দজিব উদ্দিন

তছির উদ্দিন

তমোবেওয়া

21-03-1956

সেনগাঁও

24000/

88

সুরেন্দ্র নাথ রায়

আলন চন্দ্র রায়

ঝিলোবালা

15-11-1951

সেনগাঁও

24000/

89

রুমি আক্তার

 

শাহানা

05-08-1945

সেনগাঁও

24000/

90

নুর মোহাঃ

আকবর আলী

নিলজান

07-10-1948

সেনগাঁও

24000/

91

আকবর আলী

ওয়াজউদ্দিন

রুপজান

20-05-1941

সেনগাঁও

24000/

92

আঃ ছালাম

আলতাব আলী

মোজ্জফত

21-02-1952

সেনগাঁও

24000/

93

মোঃ সামসুল হক

ফজর আলীশেখ

জমিলা

25-09-1943

সেনগাঁও

24000/

94

মোঃ ওয়াজেদ আলী

খোরসেদ

খতেজা

01-01-1947

সেনগাঁও

24000/

95

মোঃ জহুরুল ইসলাম

রহিম উদ্দিন

রমিহাখাতুনি

11-02-1946

জাবরহাট

24000/

96

আঃ মজিদ

টুনি মোহাঃ

মমেনাখাতুন

20-11-1956

জাবরহাট

24000/

97

মোঃ সমশের আলী

সলিমুদ্দিন

জরিনা

01-02-1941

জাবরহাট

24000/

98

ইসলাম উদ্দিন

আলা বক্স

বছিরন

20-04-1958

জাবরহাট

24000/

99

মুনির উদ্দিন

নবির উদ্দিন

পালাবই

21-02-1955

জাবরহাট

24000/

100

মোঃ আকতার আলী

কোরবান আলী

মমেনা

12-03-1952

জাবরহাট

24000/

101

কুলসুম বেওয়া

আনসার

গোহরজান

21-03-1944

জাবরহাট

24000/

102

আজাহার আলী

সাইবুদ্দিন

সরিমনখাতুন

11-02-1946

জাবরহাট

24000/

103

আজিম উদ্দিন

মোঃ রেছাল উদ্দিন

জবেদা

20-11-1956

জাবরহাট

24000/

104

আঃ হাকিম

আব্দুর রহমান

জমিলা

21-03-1970

জাবরহাট

24000/

105

আবু বক্কর সিদ্দিক

আবদুল­াহ

সাহেরা

12-03-1952

জাবরহাট

24000/

106

মোকসেদ আলী

হুসেন আলী

মৃঃনবানী

13-02-1946

বৈরচুনা

24000/

107

সামসুল হক

বসির উদ্দিন

মৃঃআংনেজা

25-03-1947

বৈরচুনা

24000/

108

মাজেদা বেওয়া

মৃঃ ইজারত আলী

মৃঃজরিনাখাতুন

08-12-1963

বৈরচুনা

24000/

109

মোঃ নুরোল ইসলাম

গফির উদ্দিন

মৃঃসফিরন

21-02-1943

বৈরচুনা

24000/

110

মোঃ আঃ হামিদ

মফিজ উদ্দিন

হালিমা

01-02-1950

সেনগাঁও

24000/

111

আনোয়ারহোসেন

জামালউদ্দিন

 

02-03-1955

পেৌরসভা

24000/

112

মোহনা বেওয়া

সরবত আলী

আইফুলি

03-02-1956

পৌরসভা

24000/

113

রশিদা বেওয়া

  

21-02-1941

পৌরসভা

24000/

114

রেহেনা

তমিজ উদ্দিন

ফরিদাখাতুন

12-07-1957

ভোমরাদহ

24000/

115

ফাতেমা বেওয়া

বশির মোহাম্মদ

বছিরন

20-11-1956

কোশারাণীগঞ্জ

24000/

116

চিত্তরঞ্জন রায়

টেপুরাম রায়

ইনদ্রারানী

21-02-1941

খনগাঁও

24000/

117

শরৎচন্দ্র রায়

অতুল চন্দ্র রায়

নিবিবালারায়

12-03-1952

খনগাঁও

24000/

118

আঃ লতিফ

নবিবউদ্দিন

সুশিদাননেছা

20-11-1956

পীরগঞ্জ

24000/

119

আঃ হাই

আঃ রাজ্জাক

সখিনাখাতুন

25-07-1950

পীরগঞ্জ

24000/

120

করমা নন্দ

বিদ্র রায়

ভাগ্যরানী

02-03-1955

পীরগঞ্জ

24000/

121

সকিনা বেওয়া

দারাস উদ্দিন

জবেদা

12-03-1952

হাজীপুর

24000/

122

রাবেতুন বেওয়া

 

লালজানবিবি

11-02-1946

হাজীপুর

24000/

123

ইনাম উদ্দিন

দর্শন আলী

তহুরাবেগম

11-02-1946

হাজীপুর

24000/

124

সুবেন্দ্র নাথ রায়

ডকরা রাম

সাহেবী

20-11-1956

দৌলতপুর

24000/

125

মোছাঃসফুরা বেগম

কলিমুদ্দিন

জরিনা

21-02-1941

সেনগাঁও

24000/

126

ভবাতি বেওয়া

 

শরবশিবালা

04-05-1965

সেনগাঁও

24000/

127

দয়ারানী বেওয়া

কেশরী মোহন

বাসন্তি

27-05-1965

সেনগাঁও

24000/

128

মকসেদ আলী

নইমউদ্দিন

মকছেদা

12-03-1952

জাবরহাট

24000/

129

ইব্রাহীম খলিল

শরিফ উদ্দিন

ওহায়েদুননেছা

21-02-1941

জাবরহাট

24000/

130

ওবায়দুল­াহ

রহিমউদ্দিন

জমিলা

11-02-1946

জাবরহাট

24000/

131

আঃগণি

চেনা মোহাঃ

মৃঃমেনাবিবি

20-11-1956

বৈরচুনা

24000/

132

সিপাহী রইজ উদ্দিন

ইসমাইল

মৃঃনুরজাহান

21-02-1941

বৈরচুনা

24000/

133

আবুল হোসেন

সফিউদ্দিন

ফাতেমা

13-03-1948

পৌরসভা

24000/

134

,মোছা কুলসুম বেওয়া

হুসেন আলী

রমেশাবেগম

12-02-1955

পৌরসভা

24000/

135

মোছাঃ মাজেদাবেওয়া

কালু মিয়া

করফুননেছা

04-05-1958

পৌরসভা

24000/

136

শশীমোহন রায়

গোপাল চন্দ্র রায়

পদশ্বরী

29-01-1948

ভোমরাদহ

24000/

137

শ্রীনন্দ লাল রায়

শ্রী হারাধন রায়

কালন

12-03-1952

ভোমরাদহ

24000/

138

মিনা রায়

ক্ষেত্রমোহন রায়

নোবানিরানী

11-02-1972

পৌরসভা

24000/

139

শহরবানু

ছুটু মাহাঃ

পাতাইবিবি

20-11-1956

পীরগঞ্জ

24000/

140

মোছাঃ লুৎফা বেওয়া

নজিবুদ্দিন

আখলিমা

21-03-1958

কোশারাণীগঞ্জ

24000/

141

দেবনারায়ন রায়(দিপু)

শোভা রাম

রাধিকাবেওয়া

01-02-1938

কোশারাণীগঞ্জ

24000/

142

শ্রী উদয় কুমার রায়

হরিপদ রায়

কিরনরানী

12-03-1952

খনগাঁও

24000/

143

উনি বালা

চিকুরাম

সধরানী

21-02-1941

খনগাঁও

24000/

144

মোছা জামেলা বেওয়া

লুৎফর আলী

সামিরন

11-02-1946

পীরগঞ্জ

24000/

145

মোছাঃ লায়লি বেওয়া

 

কছিরন

02-03-1955

হাজীপুর

24000/

146

ছলেমান আলী

জমিরউদ্দিন

আবেদা

21-02-1941

হাজীপুর

24000/

147

সাবিত্রী বেওয়া

খোকারাম

মিনারানী

21-03-1958

দৌলতপুর

24000/

148

মোছাঃ হামিদা বেওয়া

 

আমিনা

01-01-1963

সেনগাঁও

24000/

149

মোঃ তসলিম

তজির উদ্দিন

তফেজাখাতুন

07-07-1951

সেনগাঁও

24000/

150

মজিবর (আঃ মজিদ)

বিশু মোঃ

মমেনা

07-08-1948

সেনগাঁও

24000/

151

নাসিরা বেওয়া

নজির উদ্দিন

লালনানু

11-02-1946

জাবরহাট

24000/

152

মোছাঃকায়সারীবেওয়া

আজিমুদ্দিন

জাহেদা

20-11-1956

জাবরহাট

24000/

153

আঃ রশিদ

বাহার উদ্দিন

মশিজান

21-03-1942

জাবরহাট

24000/

154

হেম বালা রায়

মৃতবাগেন্দ্র নাথ রায়

সুমোবালা

18-05-1960

জাবরহাট

24000/

155

মোঃ আবু হানিফ

সকিম উদ্দিন

 

12-03-1952

পৌরসভা

24000/

156

মোঃ খোরশেদ আলী

খলিলুর রহমান

 

20-11-1956

পৌরসভা

24000/

157

আমেনা বেওয়া

মৃতঃ আব্দুল হাকিমর

 

21-03-1958

পৌরসভা

24000/

158

মোঃ ইয়াছিন আলী

মাইন উদ্দিন

রংমালা

20-11-1956

পৌরসভা

24000/

159

মোঃ সিরাজুল ইসলাম

সফিউদ্দিন

ফাতেমা

28-05-1945

পৌরসভা

24000/

160

,মোঃ সেলিম উদ্দিন

ডেংগু মোহাঃ

বাতাসিন

02-01-1952

পৌরসভা

24000/

161

আসমা খাতুন

হেসাম উদ্দিন

অফিরন

18-10-1959

পৌরসভা

24000/

162

,মোঃ আবুল কাশেম

মেহেরাব আলী

 

20-11-1956

পৌরসভা

24000/

163

মোছাঃনুরজাহানবেগম

  

21-02-1941

পৌরসভা

24000/

164

ওবায়দুল্লাহ

আজিমউদ্দিন

জমিলা

14-10-1943

পৌরসভা

24000/

165

,মোঃ নুরুল ইসলাম

ইয়াকুব আলী

আমেনাখাতুন

12-03-1952

পৌরসভা

24000/

166

মোঃ জমির উদ্দিন

খাদেম আলী

আকলিমা

25-01-1956

ভোমরাদহ

24000/

167

চায়না চক্রবর্তী

মায়ারানী

রামচন্দ্র

10-09-1962

ভোমরাদহ

24000/

168

নিত্য চন্দ্র রায়

শ্রী নবীন চন্দ্র

মিলিবেওয়া

09-08-1957

ভোমরাদহ

24000/

169

আকতারুজ্জামান

আব্দুল জলির

কলেমা

12-03-1952

কোষারানীগঞ্জ

24000/

170

মোঃ আব্দুল হাই

গফফার

কুলফাতুননেছা

20-11-1956

,,

24000/

171

প্রকাশ চন্দ্র রায়

সতিশ চন্দ্র রায়

উষারানী

21-02-1958

খনগাঁও

24000/

172

শুরু বালা

তিলক চন্দ্র রায়

প্রমদারায়

02-03-1955

,,

24000/

173

সুরেন্দু নাথ রায়

ভবেশ চন্দ্র রায়

সজনিরানী

12-03-1952

,,

24000/

174

শ্রী ধনেশ্বর চন্দ্র রায়

নেধুরাম রায়

সরলারাণী

21-02-1944

,,

24000/

175

দিনেশ চন্দ্র রায়

মোহন চন্দ্র রায়

মেলোবালা

11-02-1946

খনগাঁও

24000/

176

মো্ঃ ইসমাইল

তমিজ উদ্দিন

পতিরন

20-11-1956

জাবরহাট

24000/

177

মোমেনা খাতুন

জাদু মোহামআমদ

ফাতেমা

01-03-1953

সেনগাও

24000/

178

মমেনা বেওয়া

মৃঃ কালুমোহাঃ

মৃঃসফিরনবেঃ

19-09-1960

বৈরচুনা

24000/

179

হাবেল হেমব্রম

মঙ্গল হেমরম

লক্ষিমাডি

21-03-1955

পীরগঞ্জ

24000/

180

আবুল কালাম আজাদ

আব্দুল রাজ্জাক

মৃঃসখিনাখাতুন

20-08-1955

পীরগঞ্জ

24000/

181

পবির উদ্দিন

খলিম উদ্দিন

পশিজান

21-02-1941

দৌলতপুর

24000/

182

কল্পনা রানী রায়

সুপেন্দ্র নাথ রায়

সাবিত্রীরানীরায়

12-03-1952

খনগাঁও

24000/

183

প্রল্লাত চন্দ্র রায়

শ্রী অতুল চন্দ্র রায়

ঘিরোবালারায়

12-03-1952

,,

24000/

184

নরুন নাহার

ঘামানু মোহাম্মদ

জাতিবেওয়া

20-11-1956

,,

24000/

185

শ্রী মহেশ চন্দ্র রায়

শ্রী আকালু রাম রায়

রনশশীবালা

21-03-1958

,,

24000/

186

শ্রীশাল অধিকারী

খাল চরন অধিকারী

মৃঃহিলিরানী

31-12-1943

সৈয়দপুর

24000/

187

শ্রীমতি অমিলারানীরায়

মৃঃ কান্তি নায়

মৃঃকাদমনি

13-07-1958

,,

24000/

188

শ্রী গ্রিরীধারী

পশু রাম

মৃঃদিনোমনিবেঃ

08-08-1951

,,

24000/

189

খবির উদ্দিন

মশির উদ্দিন

সিদ্দীকা

11-02-1946

হাজিপুর

24000/

190

মোঃ এনামুল হক

ফজির উদ্দিন

ইদননেছা

20-11-1956

,,

24000/

191

আবু বক্কর সিদ্দিক

রহিমউদ্দিন

আমেনাখাতুন

08-02-1950

,,

24000/

192

লতিফা

নজিবুদ্দিন

ফয়দা

21-03-1958

,,

24000/

193

নুরজাহান বেগম

কুরমান আলী

কশিরন

02-03-1955

,,

24000/

194

,মোছা সাইফুন নাহার

ইয়াকুব আলী

সলেমাখাতুন

21-02-1958

হাজিপুর

24000/

195

,মোঃ আসাদ আলী

আব্দুর জববার

আসামন

02-03-1955

,,

24000/

196

,মোঃ কফিল উদ্দিনা

পতা- শেরতুল­াহ

শহরবানু

20-11-1956

ভোমরাদহ

24000/

197

,মোঃ দবিরুল ইসলাম

ওহাবউদ্দিন

আশিরন

20-03-1941

,,

24000/

198

,মোঃ আব্দুল গফ্ফার

আহম্মেদ আলী,

কশিরন

12-03-1952

,,

24000/

199

নাজিম উদ্দিন

কুসুম আলী

কবিজান

11-01-1954

,,

24000/

200

বাতাসি বেওয়া

  

20-11-1956

সেনগাঁও

24000/

201

সুমিত্রা রালী বেোয়া

  

21-03-1958

,,

24000/

202

সামিম আরা বেগম

আজিম উদ্দিন

আবেদা

12-08-1973

,,

24000/

203

আব্দুল মান্নান

আব্দুল গণি

 

12-03-1952

,,

24000/

204

,দেবেন্দ্র নাথ রায়

ভূপেন্দ্র নাথ রায

সাবেত্রী

01-01-1943

,,

24000/

205

নাজিম উদ্দিন

তফিজ উদ্দিন

সাহেদা

11-02-1946

হাজিপুর

24000/

206

কশিম উদ্দিন

মসির উদ্দিন

সমিজান

20-11-1956

জাবরহাট

24000/

207

মোঃ আব্দুর রহমান

নশর মোহাঃ

চিনিজান

21-02-1944

,,

24000/

208

মোছা: ফাতেমা

আকিমুদ্দিন

মৃঃউজুফা

21-03-1958

,,

24000/

209

পাখি বেওয়া

তিসার মোহাম্মদ

হালিমা

02-03-1955

,,

24000/

210

জরিনা বেওয়া

আলিমুদ্দিন

আমিনা

21-03-1958

,,

24000/

211

জালাল উদ্দিন

মোলাবক্স

হাফেজাবেগম

02-03-1955

,,

24000/

212

জসিম উদ্দিন

মফির উদ্দিন

জবেদা

20-02-1952

সেনগাঁও

24000/

213

সুলতান আলী

আব্দুল কাদের

আতেজান

21-02-1941

হাজিপুর

24000/

214

বংকরাম বর্ম্মন

হাগরু রাম বর্ম্মন

চিত্রালিবালা

12-03-1952

পীরগঞ্জ

24000/

215

আমেনা খাতুন

আবেদ আলী

মহিজান

12-03-1952

,,

24000/

216

মোঃ আব্দুল বাসেদ

তাহের মোহাঃ

রহিমাখাতুন

06-04-1952

ভোমরাদহ

24000/

217

আব্দুর রহমান

গোলাম উদ্দিন

সাহেদা

01-02-1966

পেৌরসভা

24000/

218

শামসুল হক

নেফার উদ্দিন

হাজেরা

02-03-1955

জাবরহাট

24000/

219

মোছাঃ আজিজুন নেছা

পয়গাম আলী চৌঃ

হাফেজাবেগম

12-10-1958

পেৌরসভা

24000/

220

মোছাঃ সালেহা বেওয়ূা

সওকত আলী

খতেজা

01-02-1966

সেনগাঁও

24000/

221

মোহাঃ একরামুল হক

আব্দৃল বাসেদ

আজিজা

21-03-1944

পীরগঞ্জ

24000/

222

মোঃ জিন্নাতুন আলম

ডাঃ মোকমল অলী

হাফেজাবেগম

20-03-1953

বৈরচুনা

24000/

223

মোঃ আজহার আলী

মরহুম আঃ আজিজ সরকার

সাজেরা

12-03-1952

জাবরহাট

24000/

224

মোঃ খলিলুর রহমান

মজির উদ্দিন

মৃঃবাতিরন

27-09-1954

বৈরচুনা

24000/

225

মোহাম্মদ আলী

লাগু মোহাঃ

পেলানি

20-11-1956

হাজিপুর

24000/

226

সূর্য মোহন রায়

হাটুল চন্দ্র রায়

ধনেশ্বরী  রায়

02-03-1955

হাজিপুর

24000/

227

মোঃ আজিজুর রহমান

মরহুম আলহাজ্ব নেফাতুল্যা

মৃঃমমিনা

23-03-1953

বৈরচুনা

24000/

228

যোগেশ চন্দ্র রায়

ইন্দ্র মোহন রায়

নিধালিরায়

03-04-1956

সেনগাঁও

24000/

229

সুধীর চন্দ্র রায়

হরে রাম চক্রবর্তী

বিভারানী

115-04-1956

ভোমরাদহ

24000/

230

পবজান

আঃ গফুর

মৃঃমহিরন

01-02-1947

হাজিপুর

24000/

231

ধনেশ চন্দ্র রায়

ইন্দ্র মোহন রায়

দয়াশরি

07-01-1950

সেনগাঁও

24000/

232

শ্রী রোহিনী কান্ত দেব শমা

মৃঃ তরস চন্দ্র দেব শমা

মৃঃমহেষশ্বরী

21-03-1958

পীরগঞ্জ

24000/

233

শ্রী বালা চরন রায়

মৃঃ ধানু রাম রায়

নিলমনি

06-03-1953

সৈয়দপুর

24000/

234

দরমিয়াল আলী

কসির উদ্দিন

অজিফা

12-03-1952

হাজিপুর

24000/

235

মোঃ দর্শন আলী

কান্দুরা মোহাঃ

কালুয়ানি

01-09-1954

সেনগাঁও

24000/

236

মোঃ ইয়াকুব আলী

ইউছুব আলী

ফাতেমাখাতুন

23-09-1955

সেনগাঁও

24000/

237

শ্রী বিষয়া রানী

নগেন্দ্র নাথ রায়

মৃঃমিনতিরানী

02-01-1955

খনগাঁও

24000/

238

মোঃ লিয়াকত আলী

নজির উদ্দিন

নবিজান

19-05-1956

সেনগাও

24000/

239

হযরত আলী

আকবর

নিলজান

11-02-1943

,,

24000/

240

সাবিত্রী রায়

 

ফুলমনিরায়

01-06-1976

সৈয়দপুর

2000/

241

মো:আনওয়ারউলআজিম

আফতাবউদ্দিন আহম্মেদ

 

20-11-1956

পেৌরসভা

24000/

242

আলী মতুর্জা

মতিয়ার রহমান

আমেনাখাতুন

02-01-1941

,,

24000/

243

মোঃ খতিবুর রহমানপ্রধান

মোঃ ফজলি উদ্দিনপ্রধান

রয়েছাবেগমপ্রধান

17-01-1950

সেনগাঁও

24000/

244

চিত্তরঞ্জন দেব শর্মা

নগেন নাথ দেব শর্মা

অলকারানী

20-11-1956

জাবরহাট

24000/

245

আলন চন্দ্র রায়

সুন্দর লাল

সাবিত্রীরানীরায়

30-04-1953

ভোমরাদহ

24000/

246

মোঃ মইন উদ্দিন

পাল মোহাম্মদ

জয়নবনেছা

21-03-1958

জাবরহাট

24000/

247

কৃষ্ণমোহন রায়

ক্ষেত্র মোহন রায়

ভাগ্যবালা

11-02-1953

,,

24000/

248

শেকুল ইসলাম

জনাব আলী বেপারী

সুফিয়াখাতুন

17-07-1954

পেৌরসভা

24000/

249

মোঃ আঃ ওয়াজেদ

কাইম উদ্দিন

 

20-03-1951

,,

24000/

250

মোঃ আলতাফুর রহমান

আজিজুর রহমান

মসলিমা(চাদমোহনা

25-12-1953

পেৌরসভা

24000/

251

সরদার হিরু

সামু সরদার

 

12-03-1952

,,

24000/

252

মোঃ আদ্বুর রশিদ

মতিউর রহমান

আসেমা

02-03-1955

জাবরহাট

24000/

253

মোঃ একেএম তৈয়বআলী

আতর আলী

কদরিননেছা

02-02-1953

,,

24000/

254

মোঃ সামছুল আলম

দবির উদ্দিন

মৃঃহালিমা

21-03-1958

বৈরচুনা্

24000/

255

মোছাঃ আনোয়ারা বেগম

হাফিজুর রহমান

 

02-03-1955

পৌরসভা

24000/

256

মোঃ ইব্রাহিম খান

সফিউদ্দিন আহম্মেদ

রাবেয়া

15-09-1954

পৌরসভা

24000/

257

শ্রী জীতেন্দ্র নাথ রায়

মহন চন্দ্র রায়

হেদোবালা

03-02-1955

জাবরহাট

24000/

258

মোঃ আবু হানিফ মিঞা

আশির উদ্দিন

হাফেজাবেগম

20-11-1956

হাজিপুর

24000/

259

মোছাঃ গলেনুর সুলতানা

সফিজ উদ্দিন প্রধান

নুরজাহানপ্রধান

23-09-1958

পেৌরসভা

24000/

260

মোঃ তাজুল ইসলাম

ফজর আলীশেখ

 

01-02-1947

সেনগাঁও

24000/

261

মোঃ আব্দুস সালাম

সলিম উদ্দিন

আসিরন

11-02-1953

পীরগঞ্জ

24000/

262

বানেসা বেওয়া

মৃঃ আজিমুদ্দিন

মৃঃজমিলা

12-03-1966

বৈরচুনা

24000/

263

আব্দুস সামাদ

দবির উদ্দিন

দবিজান

20-01-1949

পীরগঞ্জ

24000/

264

মো আকতার হোসেনরাজা

আইয়ুব আলী

 

02-03-1950

পৌরসভা

24000/

265

মোছাঃ মোকলেসা

আসির উদদ্দন

মসিজান

07-07-1966

ভোমরাদহ

24000/

266

আঃ মোতালেব

মৃতঃ মুনসেফ আলী

 

11-02-1953

পেৌরসভা

24000/

267

উলপ চন্দ্র সরকার

মৃত:ত্রিপন রাম সরকার

বিশবালা

11-02-1946

জাবরহাট

24000/

268

মোঃ নজরম্নল ইসলাম

মৃত:হাসিম উদ্দিন

 

03-02-1942

পেৌরসভা

24000/

269

মোঃ জহুর আলী

মৃতঃ আমির আলী

নয়নবানু

01-02-1943

সেনগাঁও

24000/

270

মোসলেমা বেগম

 

দুরজান

20-05-1952

,,

24000/

271

মোঃ ইকরামুল হক

মৃত: ইসাহাক

জজিমাখাতুন

07-11-1948

পেৌরসভা

24000/

272

মোঃ আলী আশরাফ

মৃতঃ আঃ হামিদ

 

21-02-1935

,,

24000/

273

মোঃ মজিবর রহমান

মৃত: নাজিমউদ্দিন

তহুরননেছা

01-01-1951

সেনগাঁও

24000/

274

মোঃ নাজিম উদ্দিন

মৃতঃ বাসর উদ্দিন

মাজেদা

20-11-1956

হাজীপুর

24000/

275

শাহানাজ পারভীন

মৃঃ মফিজ উদ্দিন

মৃঃরওশনারা

10-02-1972

বৈরচুনা

24000/

276

এস.এম .মামুনুর রশিদ

মৃতঃএস.এম. খয়রাত আলী

হাফেজাবেগম

11-02-1953

জাবরহাট

24000/

277

শ্রী প্রফুলস্ন দেব

মৃতঃ নগে্ন্দ্র নাথ দেব

মৃঃপৈক্ষবেওয়া

03-02-1955

পীরগঞ্জ

24000/

278

হাফিজ উদ্দিন

মৃতঃ আমির উদ্দিন

মৃঃজমিরননেছা

19-081942

বৈরচুনা

24000/

279

মোঃশহীদুলস্নাহ

মৃতঃ আজিম উদ্দিন

 

03-01-1961

পৌরসভা

24000/

280

আখতারম্নজ্জামান

মৃতঃ আমির হুসেন

সুফিয়াখাতুন

01-02-1947

পীরগঞ্জ

24000/

281

মোঃ জয়নাল আবেদীন

মৃতঃ মশির উদ্দিন

 

12-03-1952

হাজিপুর

24000/

282

মোঃনুরজামান

মৃতঃমুনিরউদ্দীন আহম্মেদ

উম্মে কুলসুম সলেমা

01-10-1958

পৌরসভা

20000/

283

মোঃ ইমদাদুল হক

মৃত ইসাহাক আলী

আজিমা খাতুন

13-11-1943

পৌরসভা

20000/